۲۳ آذر ۱۴۰۳ |۱۱ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 13, 2024
যুক্তরাজ্যের অনেক দরিদ্র পরিবারে ঘুমানোর বিছানাও নেই
যুক্তরাজ্যের অনেক দরিদ্র পরিবারে ঘুমানোর বিছানাও নেই

হাওজা / ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মুষ্টিমেয় ধনাঢ্য পূঁজিপতি শক্ত হাতে অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে ।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ধনতন্ত্র ও গণতন্ত্র কি পরস্পর বৈরী ও শত্রু ?! ধনতন্ত্র ও গণতন্ত্রের মধ্যে কি সখ্যতা আছে?! ধনতন্ত্র কি অর্থনীতিতে ডিক্টেটর শিপ ? হ্যাঁ ধনতন্ত্র অর্থনৈতিক অঙ্গনে ডিক্টেটর শিপ তুল্য । ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মুষ্টিমেয় ধনাঢ্য পূঁজিপতি শক্ত হাতে অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে । শুধু তাই না , পয়সা ও অর্থের জোরে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের সবকিছু এমনকি সরকারকে পর্যন্ত খরিদ করে ও কিনে ফেলে নিজেদের খেদমতগার গোলামে রূপান্তরিত করে । (যুক্তরাজ্য)

ধনতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পশ্চিমা দেশগুলোয় ধনী শেঠ পূজিপতিরা নির্বাচনে অঢেল অর্থ ঢালে যা আসলে রাজনীতিতে তাদের ব্যবসায়িক বাণিজ্যিক বিনিয়োগ এবং তা কার্যতঃ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে উৎকোচ প্রদানের নামান্তর ।
তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আসলে ধনাঢ্য ধনকুবের পূঁজি পতিদের প্রতিনিধি বনে যায় এবং সরকার ও রাষ্ট্রে তাদের স্বার্থ তদারক ও সংরক্ষণ করে । আর এভাবে অর্থনীতিকে কুক্ষিগত করে সমাজ ও রাষ্ট্রের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে পূঁজি পতিরা। তাই ও সব পশ্চিমা দেশে ধনতন্ত্রের কাছে গণতন্ত্র জিম্মি হয়ে গেছে এবং গণতন্ত্র ধনতন্ত্রের গোলাম,চাকর ও সেবা দাসেই রূপান্তরিত হয়েছে । পশ্চিমা দেশগুলোয় ধনতন্ত্রের কর্ণধার মুষ্টিমেয় ধনী পূঁজি পতিদের মধ্যেই আবর্তিত হতে থাকে ধনসম্পদ ও পূঁজি। ফলে ধনী দরিদ্রের ব্যবধান বাড়তে থাকে এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যের উদ্ভব হয় । অথচ পবিত্র কুরআনে কেবল ধনীদের মধ্যে সম্পদ ও অর্থের আবর্তনের নিন্দা করা হয়েছে :
ما أَفاءَ اللهُ عَلى رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقُرى فَلِلهِ وَ لِلرَّسُولِ وَ لِذِي الْقُرْبى وَ الْيَتامى وَ الْمَساكينِ وَ ابْنِ السَّبيلِ كَيْ لا يَكُونَ دُولَةً بَيْنَ الْأَغْنِياءِ مِنْكُمْ وَ ما آتاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَ ما نَهاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا وَ اتَّقُوا اللهَ إِنَّ اللهَ شَديدُ الْعِقابِ [7]
মহান আল্লাহ আবাদী সমূহের অধিবাসীদের থেকে যা কিছু ( যে সম্পদ ) তাঁর নবীর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন তা মহান আল্লাহর , তাঁর রাসূলের , তাঁর ( অর্থাৎ রাসূলুল্লাহর ) নিকটাত্মীয়ের , তাঁর ইয়াতীমদের , তাঁর মিসকীনদের এবং তাঁর পথিকদের যাতে তা ( এ বিশাল ধনসম্পদ ) তোমাদের মধ্যকার ধনীদের মাঝেই যেন হাত বদল হতে না থাকে ( অর্থাৎ আবর্তিত না হয় ) ।আর যা রাসূল তোমাদের জন্য আনয়ন করেছেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা তিনি নিষেধ করেছেন তা থেকে তোমরা বিরত থাক এবং মহান আল্লাহকে তোমরা সবাই ভয় কর । কারণ মহান আল্লাহ অবশ্যই কঠোর শাস্তিদাতা। ( সূরা -ই হাশর : ৭ )
যুরা ( যুক্তরাজ্য) একটি পশ্চিমা ধনতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র । সেখানে ধনসম্পদ ও পূঁজির সিংহভাগই ধনাঢ্য পূঁজি পতিদের হাতে। আর উক্ত খবর থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে যুরায় (যুক্তরাজ্য) ধনী দরিদ্রের ব্যবধান ও অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে বলেই দেশটির অনেক দরিদ্র পরিবারে ঘুমানোর বিছানা পর্যন্ত নেই। অথচ যুরা (যুক্তরাজ্য) বিশ্বের পঞ্চম বা ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতি ও ধনী দেশ !! ধনতান্ত্রিক যুরায় (যুক্তরাজ্য) অর্থ ও সম্পদের ন্যায্য বন্টন হচ্ছে না এবং তা ধনীদের মাঝেই কেবল হাত বদল ও আবর্তিত হওয়ার কারণে এ ভয়াবহ অবস্থা ও পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। অতএব এই ধরনের পশ্চিমা ধাঁচের ধনতান্ত্রিক - গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মডেল আমদানি করে আমাদের দেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তা প্রয়োগ করার কারণে দারিদ্র বিমোচন হচ্ছে না এবং হবেও না । কারণ এর সূতিকাগারেই এই মডেল যে সমস্যা ও সংকট পাকিয়েছে তা পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও পাকাবে ও সৃষ্টি করবে যদি সেসব দেশেও এই মডেল প্রয়োগ করা হয়। ধনতন্ত্র - গণতন্ত্রের এই অ্যামালগাম বা জগাখিচুরিকেই পশ্চিমারা তথাকথিত ' লিবারেল ডেমোক্রেসি ' নামে অভিহিত করে মর্ত্যবাসীদেরকে তা গিলানোর চেষ্টা করছে !! অতএব সাধু সাবধান !!
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

تبصرہ ارسال

You are replying to: .